বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছাত্রদল নেতার গুদামে সাড়ে ১৭ লাখ টাকার ভারতীয় কম্বল-সিগারেট যে ১২ নির্দেশনা দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল কাদের আসেন, আমার বাসায় আসেন: মির্জা ফখরুল পিআইবির মহাপরিচালক হলেন ফারুক ওয়াসিফ চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান প্রশাসন ক্যাডাররা, জনপ্রশাসনকে জানাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বন্যা দেখতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেলেন দুই এমপি ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের আইনের আওতায় আনা হবে গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল পাবে জনগণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই : মির্জা ফখরুল
রোবট দিয়ে তৈরি দুবাইয়ের জাদুঘরে নানা চমক

রোবট দিয়ে তৈরি দুবাইয়ের জাদুঘরে নানা চমক

স্বদেশ ডেস্ক:

সমুদ্র তীরবর্তী শহর দুবাই পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাণকেন্দ্র। বুর্জ খলিফাসহ অসংখ্য সুউচ্চ অট্টালিকা এই শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ‘মিউজিয়াম অব দ্যা ফিউচার’ নামক উপবৃত্তাকার একটি জাদুঘর, যাকে অনেকেই বিশ্বের সুন্দরতম নির্মাণ বলে অভিহিত করেছেন।

সাত তলা উপবৃত্তাকার ভবনটি ৩০ হাজার বর্গমিটারজুড়ে বিস্তৃত ও ৭৭ মিটার উঁচু। পৃথিবীর উচ্চতম নির্মাণ বুর্জ খলিফার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত এই নবনির্মিত ভবনটি।

দুবাই প্রশাসন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এটি এমন একটি জাদুঘর যা মানবতার ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টিভঙ্গির একটি স্থায়ী প্রদর্শনী। তাদের আশা এটি ভবিষ্যতে অনুপ্রেরণা, উদ্ভাবন এবং মানব উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোর সমাধান ও বিকাশের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে।

 

এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল জেরজউই জানান, ‘মিউজিয়াম অব দ্যা ফিউচার’ কার্যত একটি ‘জীবন্ত জাদুঘর’, কারণ এটি ক্রমাগত অভিযোজিত এবং রূপান্তরিত হয়। ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এখানে আয়োজিত প্রদর্শনীগুলোও।

‘কিল্লা ডিজাইন’ নামক সংস্থার শন কিল্লা এই ভবনটির মুখ্য স্থপতি। বৃহৎ উপবৃত্তাকার এই ভবনটিকে দুবাইয়ের স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক হিসেবে কল্পনা করা হচ্ছে। এটি আধুনিক কম্পিউটারকে ব্যবহার করে গড়া নকশা এবং প্রকৌশলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিদর্শন।

রোবটের মাধ্যমে বিশেষভাবে তৈরি করা ১০২৪টি টুকরো দিয়ে এই ভবনটি গঠিত। এই টুকরোগুলোর প্রতিটিই আদতে এক একটি শিল্পকলার নিদর্শন। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মূলত স্টেনলেস স্টিল। কিন্তু ইস্পাত ছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে এমন কিছু যৌগ যা চারটি স্তর নিয়ে গঠিত। ১৬টিরও বেশি ধাপের মধ্য দিয়ে এই যৌগটি উৎপাদিত হয়েছে।

শুধুমাত্র সম্মুখভাগটি তৈরি করতেই সময় লেগেছে ১৮ মাসেরও বেশি। ১০২৪টি প্যানেল বেছে নেওয়ার কারণ এটি একটি কিলোবাইট বা ১০২৪টি অক্ষরের প্রতিনিধিত্ব করে।

গোটা ভবনটিতে যে আলোকবর্তিকা রয়েছে তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী তথা দুবাইয়ের শাসক শেখ মহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের তিনটি উদ্ধৃতি এই ভবনের দেওয়ালে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

সম্মুখভাগের উদ্ধৃতিগুলোতে একটিতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা শত শত বছর বাঁচতে পারি না, তবে আমাদের সৃজনশীলতার সৃষ্টিগুলো আমাদের চলে যাওয়ার পরেও একটি উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারে’।

জাদুঘরটির প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য রয়েছে নিজস্ব সৌর পার্ক। এই পার্কটি ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। স্থায়িত্বের দিক থেকেও এটি বিশ্বমানের।

ভবনটির অন্যতম আকর্ষণ ‘ভল্ট অব লাইফ’। এই অংশে কলম্বিয়ার আমাজন অববাহিকার নিরক্ষীয় বনভূমির প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে।

‘আল ওয়াহা’ নামক একটি প্রদর্শনীতে দর্শকদের জন্য রয়েছে এমন একটি দুনিয়ায় নিজেদের অন্বেষণ করার সুযোগ যা তাদের ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপিত করবে।

জাদুঘরে রয়েছে ‘ফিউচার হিরোজ’ নামক একটি বিভাগ, যা তরুণ মনকে নিজেদের এবং তাদের চারপাশের বিশ্বকে নতুন করে আবিষ্কার করতে উৎসাহিত করবে।

সবার উপরে রয়েছে মহাকাশের থিমযুক্ত ‘ওএসএস হোপ এক্সপেরিয়েন্টাল ডিসপ্লে’। এখানে ২০৭১ সালে একটি বিশাল মহাকাশ স্টেশনের ভিতরে জীবন কেমন হতে পারে তা চিত্রিত হয়েছে। ‘ওএসএস হোপ’ আদপে ভবিষ্যতের একটি আশা জোগায় দর্শনার্থীদের মনে।

নির্মাতাদের কথায় নতুন জাদুঘরটি ‘ভবিষ্যতবাদী চিন্তাবিদ, উদ্ভাবক এবং জনসাধারণকে একত্রিত করার একটি প্রতিশ্রুতি’ স্বরূপ। যা একই সঙ্গে বিজ্ঞান চেতনাকে লালন করে এবং ভবিষ্যতে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে পারে তার পথ দেখায়। সূত্র: আনন্দবাজার, টাইম আউট অব দুবাই

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877